Header Ads

কতটা নিরুপায় হয়ে মানুষ এমন কথা বলতে পারে, একটু চিন্তা করে দেখবেন কি?

ছেলেটার মাত্র ২২ বছর! এখনই বিয়ে করতে চায়! খুব লজ্জাকর!
মেয়েটার মাত্র ১৮-১৯ চলে, এখনই বিয়ে করতে চায়! কি বেশরম মেয়েরে বাবা! নিজের বিয়ের কথা নিজেই বলে!
ছেলেটার ৩৫ বছর বয়স। কোথাও পাত্রী খুজে পায় না। কত বয়স হয়ে গেছে! এই ছেলেরে কে মেয়ে দিবে!
মেয়েটার ৩২ বছর বছর বয়স। এতো দিনে বিয়ে হলনা! ঘরে আইবুড়ো হয়ে বসে আছে। কি জানি কি সমস্যা, তাই বিয়ে হয় না।
এই ধরনের কথাগুলো আমাদের মুসলিম সমাজেও খুব বেশি শোনা যায়।
যেখানে ইসলামে বিয়ের কোন বয়স নির্ধারন করা হয়নি, প্রাপ্ত বয়স্ক হলেই সন্তানকে বিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সেখানে আমরা নামে মুসলিম কতক মানুষেরা ছেলের ২২ বছরে আর মেয়ের ১৮-১৯ বছরে বিয়ে করতে চাওয়াকে কত লজ্জাকর মনে করি। আর আমাদের বাবা-মায়েরাও অনেকেই এটা মানতে চায় না, এই বয়ষে ছেলে-মেয়েকে বিয়ে দিবে । অথচ এই ছেলে-মেয়ে যদি এর থেকেও কম বয়সে প্রেম করে, তখন বাবা-মায়েদের খুব একটা সমস্যা হয় না।
এক ভাইয়ের লেখা পড়েছিলাম। বয়স ৩০ হয়ে গেল। বাসায় বিয়ের কথা বলতে পারছে না এখনো। এই বিষয়ে কিছু বললে, সবাই তাকে ছোট বলে। তাকে এখনো বিয়ে করতে দিবে না। সেই ভাই আক্ষেপ করে বলেছে, "আমার বাসা থেকে আমাকে বিয়ে করতে না দিলেও, এতো দিনে কত ........................... যদি আল্লাহ মাফ না করেন, তাহলে জাহান্নামই হবে আমার আসল ঠি্কানা"।
কতটা নিরুপায় হয়ে মানুষ এমন কথা বলতে পারে, একটু চিন্তা করে দেখবেন কি, আমাদের সমাজের জ্ঞানী মানুষেরা!
একটা মানুষ ইসলামের বিধান মানতে, আল্লাহ কে ভয় করে, বিয়ের চিন্তা করে কিন্তু আমাদের বাবা-মা এই বিষয়ে ভাবতে নারাজ।
যেখানে বলা হয়েছে, বিয়েটা একটা ইবাদাত। আর আমরা বিয়ে নিয়ে মজা করি!
আমাদের এমন আচরনে একটা ছেলে বা মেয়ে কে লজ্জায় ফেলতে পারে, সে বিয়ে করার চিন্তা করতে সাহস হারিয়ে ফেলবে। অতঃপর, তারা যদি কোন অন্যায় করে ফেলে, সেই পাপের বোঝা কি আপনারা নিবেন? যেহেতু তারা নিজেকে রক্ষার্থে বিয়ে করতে চেয়েছিলো।
অনেকের কথা ছেলে প্রতিষ্ঠীত না হয়েই বিয়ে করতে চায়। প্রতিষ্ঠীত বলতে আপনারা কি বুঝেন?
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
“তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত (নরনারী) তাদের বিয়ে দিয়ে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্ম-পরায়ন তাদেরও (বিয়ে দাও)। (দারিদ্রকে ভয় পেও না) তারা যদি নিঃস্ব হয়,তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।" (সূরা নুর, আয়াতঃ৩২)
আলী রা এর বিয়ের কাহিনী আমরা সবাই জানি। কতটা দরিদ্র ছিলেন তিনি। তারপরও তার বিয়ে আটকে থাকেনি।
বিয়ে করতে খুব বেশি টাকার প্রয়োজন হয় না.. যেটা লাগে সেটা হচ্ছে তাওয়াক্বুল, আল্লাহর উপর ভরসা।
যে ছেলেরা দামি মোবাইল, ল্যপটপ নিয়ে ঘুরে বেরায়, প্রতিদিন কত টাকা তাদের হাত খরচের পিছনে যায়, বাবা-মা সব দিচ্ছে। অনেকে বাচ্চাদের প্রাইভেটও পড়ায়। তারা কি বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে না!



যারা ৩০-৩৫ বা ৪০ বছরে বিয়ে করতে পারছেনা, তাদের নিয়ে আপনাদের আরেক রকমের চিন্তা। অথচ মহান আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেছেন,
আমি তোমাদেরকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি, {সূরা নাবা-৮}
পবিত্র মহান সেই সত্তা, যিনি প্রত্যেক কে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছেন, যমিনের উদ্ভিদ হতে, মানব কুল হতে এবং এমন সব বস্তু হতে যা মানুষ জানে না।
(সূরা ইয়াসিন, আয়াতঃ৩৬)
আমাদের এটাও জেনে রাখা উচিৎ, বিয়ের সাথে বয়সের কোন সম্পর্ক নেই, তবে সম্পর্ক আছে দায়িত্ববোধের। দায়িত্ব একটা ছেলের যেমন আছে, তেমন একটা মেয়েরও আছে।
আল্লাহ আমাদের কে উত্তম সঙ্গী খুজে পেতে সাহায্য করুন। আর আমাদের প্রত্যেকের বাবা-মায়েরাও যেন তাদের সন্তানের বিয়ে নিয়ে চিন্তিত থাকে, যখন তাদের সন্তান প্রাপ্ত বয়স্ক হয় মানসিকভাবে....
#হে_নারী_যে_পথে_তুমি_খুজে_পাবে_জান্নাত পেইজ থেকে সংগ্রহীত।

No comments

Powered by Blogger.